স্বামী রিকশা চালক। কাজের সুবাদে দিনের বড় একটি অংশ থাকতেন বাড়ির বাহিরে। সেই সুযোগে স্ত্রী জড়িয়ে পড়ে ছিলেন পরকীয়া প্রেমে। প্রথম দিকে ভালো ভাবে কাটলেও সর্ম্পকের সমাপ্তি হয়েছে খুনের মধ্য দিয়ে।
জামদানি কারিগর খুনের রহস্য উৎঘাটন করতে গিয়ে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) এমন ভয়ঙ্কর তথ্য পেয়েছে আড়াইহাজারের থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নারাণগঞ্জের ‘গ’ অঞ্চল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আমলি আদালতে শনিবার স্বীকারুক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নারী ও তাঁর স্বামী।
অভিযুক্তরা হলেন শহিদ মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী জোসনা (৪০)।
১০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ৮টার দিকে এলাকার জাইদুলের চায়ের দোকান থেকে চা খাওয়ার পর নিখোঁজ হন জামদানি শাড়ী তৈরির কারিগর মজিবুর রহমান। গত ১১ ফেব্রুয়ারী সকালে পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলার ইলুমদী মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার পাশের একটি রাস্তা পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই মৃতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
খুনের রহস্য উৎঘাটন করতে গিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতা নেন পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সজীব আহমেদ তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাতে সন্দেহবাজন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ জোসনা খুনের অভিযোগ স্বীকার করে জানান, তাঁর স্বামী শহীদ মিয়া একজন রিকশা চালক। স্বামী শহিদ মিয়ার অগোচরে জামদানি কারিগর মজিবুরের সঙ্গে জোসনা বেগমের পরকীয়া গড়ে উঠে। প্রায়ই হতো তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক। ঘটনার দিন রাতে মজিবুর ফের তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক চেষ্টা চালায়। রক্ষা পেতে তাকে ধাক্কা দিলে সে চৌকির সঙ্গে আঘাত প্রাপ্ত হন। এতে মজিবুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে মারা যায়। রিকশা চালক স্বামী শহিদ মিয়া বাড়িতে আসার পর লাশ বাড়ির কিছু অদূরে ইলুমদী মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়।’
আসামীরা স্বীকারুক্তি মূলক জবানবন্দী দিলেও আড়াইহাজার থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সজীব আহমেদ জানান, মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল। কিভাবে আঘাত প্রাপ্ত হলো তা বের করার চেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ