আমেরিকায় শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন শামীম ওসমান

শেয়ার করুণ

ছাত্রবস্থায় ছিলেন দাপুটে ছাত্রনেতা। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রশ্নে সবসময় তিনি আপোষহীন। সুদূর আমেরিকায় গিয়েও নিজের জাত চিনালেন তিনি। কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবককে একাই সামলালেন তিনি। নিজের প্রজ্ঞা,মেধা আর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে সামলালেন তাদেরকে।

আমেরিকাতে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে উত্তেজিত করার আগাম পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামাতের কতিপয় উশৃঙ্খল সমর্থক। ঘটনাটির ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই বিএনপি ও জামাতের বিভিন্ন অফিসিয়াল পেইজ থেকে ছড়িয়ে দেয়ায় পুরো বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন সবাই। এমনকি নারায়ণগঞ্জেও বেশ কয়েকজন বিএনপি-জামাতপন্থী সেই ভিডিও প্রচার করছেন। তবে এসব ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, শামীম ওসমানকে উত্তেজিত করে সেখানকার আওয়ামীলীগ সমর্থকদের দিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মিশন ব্যর্থ করেছেন খোদ শামীম ওসমান নিজেই। তিনি যথেষ্ট ধৈর্য্য, শিষ্টাচার ও সাহসীকতার সাথে তাদের পুরো মিশন ব্যর্থ করে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশের সময় বেলা সাড়ে বারটার সময় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ওই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে সেখানে তাৎক্ষনিক আশপাশের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ সমর্থকরা ছুটে আসলে ঐ বিশৃঙ্খলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করে ও প্রচার হওয়া ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে জানা গেছে, জ্যাকসন হাইটসের বাঙালী পাড়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করতে যান শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের আগমনের খবরে সেখানে অগনিত ভক্তরা তার সাথে ছবি তুলতে ভীড় জমান। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে তিনি চা বিরতির জন্য গাড়ী থেকে নামার সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা কয়েকজন উশৃঙ্খল বিএনপি-জামাতের কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন শ্লোগান দেয়া শুরু করলে শামীম ওসমান একাই তাদের সামনে গিয়ে দাড়াঁন।

এসময় বিএনপির ঐ উশৃঙ্খল কর্মীরা আবারো প্রধানমন্ত্রী ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কটুক্তিকর স্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের সাথে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে দলীয়ভাবে প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান সেখানে শিষ্টাচার ও ধৈর্য্যর পরিচয় দিয়ে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

শামীম ওসমান তাদেরকে বলেন, ‘ দলকে এত ভালোবাসলে সাহস করে দেশের মাটিতে গিয়ে শ্লোগান দাও তোমরা। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে নিজের বাবা মায়ের সম্মান হানি হয়। আমি প্রতিটি টক শোতে বলি যাদের বাবা মা আছে তাদের উচিত সবার আগে বাবা মায়ের প্রতি দ্বায়িত্ব পালন করা। সে যে দলই করুক না কেন।’


এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীদের উপরও চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে ঐ যুবকরা। পরে আমেরিকা প্রবাসী সাবেক যুবলীগ নেতা মিঠু তাদের বুঝিয়ে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন অজ্ঞাত বিএনপির সমর্থকরা। তবে উশৃঙ্খল যুবকরা কেউই জ্যাকসন হাইটসের বাসিন্দা না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুণ