নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতিত পরিবার। প্রায় সময়ই আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিবার পরিজন ছেড়ে বাইরে থাকি। পুলিশ বাহিনীনি নির্যাতন নীপিড়নে আমাদের ঘরের বাইরে রাত কাটে। শীতের দিনে অনেকে গোয়াল ঘরেও রাত কাটিয়েছে। নির্যাতিত নেতাকর্মীরা আমার সাথে যোগাযোগ রাখে।
আজ সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে হারুনুর রশিদের বাড়িতে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মামুন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত পরিবার হলো জিয়াউর রহমানের পরিবার। এই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান নির্যাতনে নীপিড়নে মৃত্যুবরণ করেছেন। সকল নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করেও বাংলাদেশের জনগণ এই পরিবারের পাশে রয়েছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদেরকে অনেকবার জেলে নিয়েছেন আর কতো জেলে নিবেন। অনেক মামলা দিয়েছেন প্রত্যেকের নামে ৩০ থেকে ৪০টি করে মামলা দিয়েছেন কিন্ত আমাদের একজন নেতাকর্মীকেও ভয় দেখাতে পারিনি। কাজেই শেখ হাসিনাকে বলতে চাই আপনার সাথে জনগণের ম্যান্ডেট নেই। আপনার পায়ের তলায় মাটি নেই। আর কতদিন আমাদের রক্ত চুষে খাবেন। আপনি উন্নয়নের নাম করে জনগণের টাকা পকেটে ঢুকাচ্ছেন।
মামুন বলেন, আপনি বেগমপাড়া বানিয়েছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। আপনি ক্ষমতা থেকে অতিদ্রুত চলে যান। বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে আর ক্ষমতায় থাকতে চায় না। যদি না যান আপনার দুর্নীতির স্বেতপত্র জনগণ তুলে ধরবে প্রত্যেকটি পয়সার হিসেব দিতে হবে। কাজেই ভালো ভালোই ক্ষমতা থেকে চলে যান। অন্যথায় স্বৈরাচারী এরশাদকে যেভাবে ক্ষমতা থেকে হঠানো হয়েছিলো তেমনি আপনাকেও হঠানো হবে।
তিনি বলেন, যদি দলের নেতাকর্মীদের ভালো চান তাদের বাঁচাতে চান তাহলে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আপনার পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন। আপনি বারবার অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবেন এটা আর হবে না। আমরা ভয়ের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। কতজনকে জেলে নিবেন জেল ভরে যাবে। আমি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছি।
৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল দেওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ানের সঞ্চালনায় এসমময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শাহ আলম হীরা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, ওকিল উদ্দিন ভূইয়া, টিএইচ তোফা, মোসারফ হোসেন, গাজী মনির হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন।