বেশ কিছুদিন করোনাভাইরাসের প্রকপ অনেকটা কমলেও কয়েক সপ্তাহ যাবত তা বেড়েই চলেছে। ১২ দিন আগেও দেশে ছিল ৬টি। কিন্তু এর মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ২৯টিতে দাঁড়িয়েছে।
জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, কুড়িগ্রাম, নরসিংদী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, নওগাঁ ও রাজশাহী।
সোমবার ( ২৯ মার্চ ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, তারা প্রতি সপ্তাহেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিধারা দেখে উচ্চ সংক্রমিত ঝুঁকিপূর্ণ জেলা চিহ্নিত করেন।

উচ্চ সংক্রমিত ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় করণিয় বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার করোনার ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আগের মতো আবারও হটস্পটে চলে যাচ্ছি। যেহেতু আমাদের অর্থনীতি চালু রাখতে হবে, সেহেতু নো মাস্ক, নো সার্ভিস চালু রাখতে হবে। রাস্তায় কেউ মাস্ক ছাড়া চলতে পারবে না, জটলা পাকাতে পারবে না। স্বভাবিক দূরত্ব বাজায় রাখতে হবে। অফিসে, র্যালী কিংবা মিটিংয়ে স্বাস্থ্য বিধি মানছে না কেউ। যাদের আমরা ফলো করবো, তারা যদি স্বাস্থ্য বিধি না মানে, তাহলে জনগণ কিভাবে মানবে। প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। প্রশাসন থেকে শুরু করে জনগণ পর্যন্ত। কেউ মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে সকল সভা-সমাবেশ এখন বাতিল করতে হবে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকা, তারপরে সদর এলাকা, রূপগঞ্জ, বন্দর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এ নির্দেশনা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিপালন করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ
